প্রকাশিত: ৩০/০৭/২০২২ ৮:০৭ এএম


চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া যাওয়ার আগে ১৪ জন একটি গ্রুপ ছবি তুলেছিলেন। সেই ছবি পোস্টও করা হয়েছিল ফেসবুকে। ছবিতে দেখা যায়, কারও মুখে উপচে পড়ছে হাসির ঢেউ। সারি বেধে আগপিছ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। হাটহাজারীর একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন খৈয়াছড়ায়। কিন্তু তাদের হাসিমুখ যে এভাবে বিলীন হয়ে যাবে চিরদিনের মতো তা কেইবা জানত। মাইক্রোবাসে ঘুরতে গিয়ে তাদের ফিরতে হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে, সাদা কাপড়ে মুড়ে, নিথর দেহে।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই চট্টগ্রামের হাটহাজারীর চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের যুগিরহাট এলাকার বাসিন্দা। আমানবাজারে আর এন জে কোচিং সেন্টারে পড়তেন এই ছাত্ররা। তাদের সঙ্গে ছিলেন কোচিংয়ের শিক্ষকরাও। ছুটির দিনে দল বেঁধে সবাই গিয়েছিলেন মিরসরাইয়ের ওই বিখ্যাত ঝরনা দেখতে। সেই আনন্দযাত্রাই পরে রূপ নিল শেষ যাত্রায়।

ঘটনার পর থেকে এই দলের দুটি ছবি ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এর একটিতে হাস্যোজ্জল মুখে দাঁড়িয়ে সবাই। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই ছবিটি দেখিয়ে নিহত সজিবের ভাই তৌসিফ বলেন, শেখ মার্কেটে অবস্থিত প্রিয় কোচিংয়ের সামনেই ছবিটি তুলেছিলেন তারা। সেই ছবিটি পরে ফেসবুকে দিয়েছিলেন রাকিব বিন খান। আমার ভাই সজিব, রাকিবসহ ১৪ জনের মধ্যে বেশিরভাগই মারা গেছেন।

ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন নিহতের ঘটনায় গেটম্যান আটক

অন্য ছবিটি যেন সেটিরই সত্যতা জানান দিচ্ছে। এই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, উদ্ধার করার পর মরদেহগুলো সাদা কাফনে মুড়িয়ে ঘটনাস্থলে সাজিয়ে রেখেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

ফেসবুকে দুটি ছবি পাশাপাশি দিয়ে রতন দেবাশীষ নামের একজন লেখেন, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! ওরা বন্ধুরা মিলে আমানবাজার থেকে মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে গিয়েছিল। কিন্তু আর ফেরা হলো না। ট্রেনের ধাক্কায় লাশ হয়ে গেল। যাওয়ার আগে ছবিও তুলেছিল, তারা কি জানত এই পরিণতি হবে? তাদের বাবা মা, স্বজনদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই!

তিন ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

এদিকে দুর্ঘটনায় আহত ছয় জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন— মাইক্রোবাসের হেলপার তৌকিদ ইবনে শাওন (২০), একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মাহিম (১৮), তানভীর হাসান হৃদয় (১৮), মো. ইমন (১৯), এসএসসি পরীক্ষার্থী তছমির পাবেল (১৬) ও মো. সৈকত (১৮)।

অন্যদিকে নিহত ১১ জনের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন— কোচিং সেন্টারের চার শিক্ষক জিসান, সজীব, রাকিব ও রেদোয়ান এবং কেএস নজুমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী হিশাম, আয়াত, মারুফ, তাসফির ও হাসান

পাঠকের মতামত

সেন্ট মার্টিনে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার অংশ হিসেবে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ ...

টেকনাফে বনজ সম্পদ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে ধমীর্য় ভূমিকা শীষক সভা অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের টেকনাফে “বনজ সম্পদ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে ধমীর্য়  ও সামাজিক নেতাদের ভূমিকায়” শীষর্ক সভা অনুষ্ঠিত ...

১ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে চলবে সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেন

আগামী ১ ফেব্রুয়ারিতে থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে ২ জোড়া নতুন ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ...

হাসপাতালের সেবা বন্ধ রেখে সেন্টমার্টিনে বনভোজন, ভোগান্তিতে রোগীরা!

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের সেবা বন্ধ রেখে চিকিৎসকরা গেলেন পিকনিকে। হাসপাতালের চিকিৎসক কমকর্তা-কর্মচারীসহ ...